রাজশাহী ইউনিভার্সিটি
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
(RUAA)
গঠনতন্ত্র
 
গঠনতন্ত্র উপকমিটি, ২০২৫ 
আহ্বায়ক 
প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম
সদস্য 
প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম ২
প্রফেসর ড. দিল-আরা হোসেন
প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ
সৈয়দ আহসানুল আপন
আনোয়ার হোসেন রিয়াজ
প্রফেসর ড. আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া
এডভোকেট মো. নূর-এ-কামরুজ্জামান
আমিনুর রহমান বাচ্চু
 
গঠনতন্ত্র উপকমিটি, ২০২১
আহ্বায়ক 
হাফিজুর রহমান খান 
সদস্য 
আবুল হাসনাত কাজী কামরুজ্জামান 
এলেনা আখতার খান 
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ 
মো. আমিনুল হক হেলাল 
মো. আনোয়ার হোসেন 
মোহাম্মদ আইয়ুব আলী খান 
ড. এম রেজাউর রহিম 
মো. ওয়াহিদ মুরাদ 
এস এম অব্রাহাম লিংকন 
সাইফুল মজিদ মো. বাহাউদ্দিন 
সিরাজুল ইসলাম (সিরাজুম মনির) 
সৈয়দ আহসানুল আপন 
 
ভূমিকা
১৯১৭ সালে ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাইকেল ই. স্যাডলার এর নেতৃত্বে গঠিত স্যাডলার কমিশন ঢাকাসহ আরও কয়েকটি জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৩০ সালের মধ্যে ঢাকাসহ ভারতবর্ষের আরও কয়েকটি জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কমিশন রাজশাহীর সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজশাহীতেও একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। কিন্তু একমাত্র ঢাকা ছাড়া অন্য কোথাও তখন আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। 
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্বপাকিস্তানে আরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভূত হয়। ১৯৫০ সালে ড. ইতরাত হোসেন জুবেরী রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেয়ার পরে স্যাডলার কমিশনের সূত্র ধরে রাজশাহীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ১৯৫০ সালের নভেম্বর মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত ৬৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি তৈরি হয়। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন রাজশাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদ আলী ও যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পাকিস্তান আইনসভা সদস্য মাদার বখশ এবং রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ ড. ইতরাত হোসেন জুবেরী। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়ে উঠলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিল প্রণয়নের জন্য ড. ইতরাত হোসেন জুবেরীকে সচিবালয়ে স্পেশাল অফিসারের পদ সৃষ্টি করে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজশাহীর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সরকারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। তদানীন্তন নুরুল আমিন সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং ১৯৫২ সালের ১ নভেম্বর আইন পরিষদের স্পিকার আবদুল হামিদ চৌধুরী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন করেন। একপর্যায়ে রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষের প্রবল দাবিকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন পার্টি মিটিংয়ের সম্মতিক্রমে বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে না পাঠিয়ে সরাসরি আইন পরিষদে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
অবশেষে ১৯৫০ সালের ৩১ মার্চ বিলটি The Rajshahi University Act, 1953 (The East Bengal Act XV of 1953) নামে আইন পরিষদে পাস হয়। ৬ জুন গভর্নর এই বিলে সম্মতি দেন। ৬ জুলাই রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. ইতরাৎ হোসেন জুবেরীকে প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য নিযুক্ত করা হয় এবং ওইদিন থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী (১৫৬ ছাত্র-৫ জন ছাত্রী), ৭টি একাডেমিক বিভাগ ও তদানীন্তন খুলনা (বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা বাদে) ও রাজশাহী বিভাগের ২০টি অধিভুক্ত কলেজ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্নাতক ডিগ্রি দেয়া হয় ১৯৫৫ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এস.এম. শামসুজ্জোহা শিক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ মুক্তিসংগ্রামে দেশবাসীকে প্রেরণা যুগিয়েছিলো। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনন্য অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছাড়াও নানাভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁরা সম্পৃক্ত হন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য হতে ৪১ জন মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। স্বাধীনতার পরেও এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াই এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসামান্য অবদান রয়েছে। ৯০-এর গণআন্দোলনসহ সর্বশেষ ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রসহ অন্যান্যরা অসামান্য ত্যাগ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, রাজনীতি ও গবেষণামূলক কাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গৌরবময় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য গ্রাজুয়েট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নানা ক্ষেত্রে অতীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, এখনো রেখে চলেছেন। দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক প্রাক্তনী তাঁদের ‘আলমা ম্যাটার’ (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান সৃষ্টির অন্যতম আধার হিসেবে দেখতে চান। একই সঙ্গে তাঁরা দেখতে চান দেশের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। এই লক্ষ্য পূরণে এখানকার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের জ্ঞান ও সক্ষমতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে নানা কাজে সম্পৃক্ত হতে চেয়েছেন। চেয়েছেন নিজেদের মধ্যে অর্থবহ যোগাযোগ তৈরি করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কল্যাণকর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে। এই লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের চেষ্টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট (সিদ্ধান্ত নং ৮৭, ৩৫৭তম সিন্ডিকেট, তারিখ ১৪/২৪-১০-৯৯ ও সিদ্ধান্ত নং ১৮, ৪০৯তম সিন্ডিকেট তারিখ ২২-০২-২০০৭) একটি আলামনাই অর্গানাইজিং কমিটি তৈরি করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১২-১৩ এপ্রিল ২০১৩ প্রথম সম্মিলনের মাধ্যমে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (RUAA) গঠিত হয়। 
উল্লিখিত এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন কোনো কমিটি গঠিত না হওয়ায় RUAA-এর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ২৭/০২/২০২১ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ৪৬৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে (সিদ্ধান্ত নং ৮২, ৫০৪তম সিন্ডিকেট)। 
সিন্ডিকেট গঠিত আহ্বায়ক কমিটি RUAA-এর গঠনতন্ত্র নতুনভাবে তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং একটি খসড়া গঠনতন্ত্র আহ্বায়ক কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করে। কিন্তু নানাবিধ পারিপার্শ্বিক জটিলতার কারণে রুয়ার এজিএম ও সম্মিলন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি। ফলে গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে জীবন সদস্যদের নিয়ে একটি অনলাইন সভার মাধ্যমে নতুনভাবে এজিএম-এর তারিখ ঘোষিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি অনলাইন সাধারণ সভার মাধ্যমে এজিএম বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত হয়। সাথে সাথে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য একটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
৩ জানুয়ারি ২০২৫ এর সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটি ইতিপূর্বে জনাব হাফিজুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটি কর্তৃক প্রণীত খসড়া গঠনতন্ত্রের বেশকিছু পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে নতুনভাবে গঠনতন্ত্রের একটি খসড়া প্রদান করে RUAA এর ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখের বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে। কিছু প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ উক্ত সাধারণ সভায় উল্লিখিত গঠনতন্ত্রটি অনুমোদিত হয়। 
উল্লেখ্য যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এ ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগভিত্তিক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত আছে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিগত দিনে যাঁরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেছিলেন বা অবদান রেখেছেন, তাঁদের সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতার উপলব্ধি থেকেই এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন পুনর্গঠনের কার্যক্রম। আশা করি এর মাধ্যমে একটি কার্যকর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয় নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।
ধারা-১: নাম 
সংগঠনের নাম হবে বাংলায় ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া)’ এবং ইংরেজিতে Rajshahi University Alumni Association (RUAA) এবং উভয় ক্ষেত্রেই সংক্ষেপে ‘রুয়া’ উচ্চারিত হবে। 
ধারা-২: প্রতীক ও পতাকা 
অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতীক এবং নিজস্ব পতাকা থাকবে। 
প্রতীক (সংযুক্ত)
মাঝখানে রাজশাহী ইউনিভার্সিটির মূল প্রতীক রেখে, গোলাকৃতি রেখা ধরে বাংলা এবং ইংরেজিতে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও Rajshahi University Alumni Association - RUAA লেখা থাকবে। প্রতীকটিতে বাইরে সবুজ রেখা সহ লাল বৃত্তসমূহ বাংলাদেশকে উপস্থাপন করবে। 
 
পতাকা
অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা হবে সাদা কাপড়ের মাঝখানে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতীক দিয়ে। পতাকার অনুপাত বাংলাদেশের এর জাতীয় পতাকার অনুপাতে ১০ শতাংশ ছোট হবে।
ধারা-৩: প্রধান কার্যালয় 
অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত হবে। তবে প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন শহরে এর শাখা খোলা যাবে। 
ধারা-৪: বর্তমান ঠিকানা 
বর্তমান ঠিকানা: বাসা নং ১, রা.বি. ক্যাম্পাস
ধারা-৫: সংজ্ঞা 
বিষয় ও প্রসঙ্গের প্রয়োজনে অনুরূপ না হলে এই গঠনতন্ত্রে: 
ক)    ‘অ্যাসোসিয়েশন’অর্থ- রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। 
খ)     ‘অ্যালামনাই’অর্থ- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও ইনস্টিটিউটের আবাসিকতা বা সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) সার্টিফিকেট অর্জনকারী যে কোন ব্যক্তি। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, এম.ফিল. ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এমন যে কেউ এর আওতাভুক্ত। 
গ)    ধারা ও বিধি অর্থ- অত্র গঠনতন্ত্রের ধারা এবং এর অধীনে প্রণীত বিধি ও উপবিধিসমূহ। 
ঘ)     বছর অর্থ- ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 
ঙ)    সদস্য অর্থ- সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য (অন্যরূপ লেখা না হলে)। 
চ)     সম্পত্তি অর্থ- নগদ তহবিলসহ অ্যাসোসিয়েশনের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। 
ছ)     কর্মচারী অর্থ- কর্মকর্তা ও কর্মচারী। 
জ)   ‘রাবিয়ান’অর্থ- রাজশাহী ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
ঝ)    ‘শিক্ষার্থী’অর্থ- ছাত্র-ছাত্রী। 
ঞ)   নির্বাহী কমিটি অর্থ- অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি। 
ট)     নির্বাহী সদস্য অর্থ- অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির যেকোনো পদ-পদবিধারী এবং সদস্য পদবিধারী। 
ধারা-৬: পরিধি 
সমগ্র বাংলাদেশ। তবে অন্য যেকোনো দেশেও এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যাবে। 
ধারা-৭: মর্যাদা 
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’একটি অরাজনৈতিক, দলনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, জনহিতকর, শিক্ষা, কল্যাণমূলক ও অলাভজনক সংগঠন। 
ধারা-৮: নিবন্ধন 
সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ‘অ্যাসোসিয়েশন’ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে নিবন্ধন নিতে পারবে। 
ধারা-৯: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অ্যালামনাসদের কল্যাণে নিম্নলিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে ‘অ্যাসোসিয়েশ’ পরিচালিত হবে; 
ক)     রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা। 
খ)      অ্যালামনাইদের মধ্যে একতা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপন এবং একে অন্যকে যথাসম্ভব সাহায্য ও সহযোগিতা করা। 
গ)      রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করা। 
ঘ)      শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য একটি পৃথক তহবিল প্রতিষ্ঠা করা।
ঙ)      অ্যালামনাসদের সমাবেশ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও অবদানের চর্চা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ ও আনুগত্য বৃদ্ধি ও বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করা।
চ)       রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, কনফারেন্স সেন্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গবেষণাগার, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন কেন্দ্রের উন্নয়ন করা।
ছ)      নিয়মিত ‘বুলেটিন’, সাময়িকী, পুস্তক মুদ্রণ, ই-পুস্তক ও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশ করা এবং প্রয়োজনে সংরক্ষণ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রকাশনা সংরক্ষণ করা। 
জ)     দেশে ও বিদেশে অ্যালামনাসদের সংগঠন গড়ে তোলা। 
ঞ)    উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলি অর্জনে তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (আলমা ম্যাটার-এর) প্রতি দায় মোচনের ক্ষেত্রে সহায়ক এরূপ অন্য সকল কার্যাবলি সম্পাদন করা। 
ধারা-১০: শাখা 
ক)     বাংলাদেশের কোনো জেলায় এবং প্রবাসের ক্ষেত্রে কোন দেশে কিংবা কোন শহরে ৩১ জন জীবন সদস্য থাকলেই শাখা কমিটি গঠন করা যাবে। 
        বিদেশে শাখা করার ব্যাপারে কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।              
        শাখা গঠনের প্রস্তাবনায় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। কোনো জেলা কিংবা শহরে একাধিক শাখা করা যাবে না।
খ)     স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শাখার নাম হবে,   
        রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ............................ (স্থানের নাম) শাখা .......................... (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দেশের নাম)
গ)     শাখাসমূহ নিজ নিজ স্থানে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাধনের জন্য কাজ করবে। 
ঘ)     শাখার বার্ষিক প্রতিবেদন ও সদস্যদের তালিকা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের বরাবর নিয়মিত প্রেরণ করতে হবে। 
ঙ)     সংশ্লিষ্ট শাখার নির্বাহী কমিটিকে অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ/সাধারণ সম্পাদকের বরাবর বার্ষিক কার্যবিবরণী এবং আয়-ব্যয় হিসাব প্রেরণ করতে হবে। 
চ)      শাখাসমূহ আয়ের একটি নির্ধারিত অংশ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ বরাবর প্রতিবছরের নভেম্বর মাসে প্রেরণ করবে। 
ছ)     অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে যেকোনো শাখা জটঅঅ-এর কাছে অর্থ পাঠাতে পারবে। 
জ)    শাখাসমূহ রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের ধারা ও বিধি অনুসারে কাজ করবে এবং কোনোভাবেই অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কোনো উপধারা ও উপবিধি তৈরি কিংবা প্রয়োগ করতে পারবে না। 
ঝ)     সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটি সম্পর্কিত বিধানগুলো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শাখাসমূহের কমিটি ও সাধারণ সভার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 
ঞ)    বিদেশস্থ শাখাসমূহ তাদের কার্যক্রম কেন্দ্রের অর্থাৎ রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সুষ্ঠু সমন্বয়পূর্বক পরিচালিত করবে। 
ধারা-১১: আয়ের উৎস 
ক)    সদস্য ফি, সদস্যদের অনুদান এবং চাঁদা 
খ)     সরকারি অনুদান 
গ)     দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অনুদান 
ঘ)     বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান 
ঙ)     অ্যাসোসিয়েশনের শাখাসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ 
চ)      বিবিধ বৈধ আয়
ধারা-১২: সদস্য 
অ্যাসোসিয়েশনে নিম্নোক্ত পাঁচ ধরনের সদস্য থাকবেÑ
ক)     সাধারণ সদস্য: সাধারণ সদস্য পদ কেবলমাত্র ৫খ ধারায় সংজ্ঞায়িত অ্যালামনাসদের জন্য নির্ধারিত থাকবে এবং বিধি মোতাবেক নির্ধারিত বার্ষিক চাঁদা প্রদান করবেন। 
খ)      জীবন সদস্য: অ্যাসোসিয়েশনের জীবন সদস্য কেবলমাত্র ৫খ ধারায় সংজ্ঞায়িত অ্যালামনাসদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। জীবন সদস্যের বার্ষিক কোনো সদস্য চাঁদা দিতে হবে না। 
গ)      সাম্মানিক (অনারারি) সদস্য: কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনবোধে সেসব নন-অ্যালামনাই, যাঁরা অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা ও স্বার্থের উন্নয়নে/পরিবর্ধনে সহায়ক এমন স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সাম্মানিক সদস্য পদ প্রদান করতে পারবেন। তবে, কোনো সাম্মানিক সদস্য ‘অ্যাসোসিয়েশনের’ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট প্রদান করতে পারবেন না। 
ঘ)      আর্থিক প্রণোদনা সদস্য (ডোনার মেম্বার): কার্যনির্বাহী কমিটি প্রয়োজনবোধে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এবং নন-অ্যালামনাই-এর মধ্য থেকে অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা ও স্বার্থের উন্নয়নে/পরিবর্ধনে সহায়ক, স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট আর্থিক প্রণোদনা (ডোনেশন) নিয়ে সদস্য পদ প্রদান করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র আর্থিক প্রণোদনা সদস্য (ডোনার মেম্বার) ‘অ্যাসোসিয়েশনের’ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট প্রদান করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আর্থিক প্রণোদনা সদস্যদের (ডোনার মেম্বার) কেউ যদি ‘অ্যাসোসিয়েশনের’ সাধারণ সদস্য কিংবা জীবন সদস্য হয়ে থাকেন এবং বিধি মোতাবেক নির্বাচন করতে চান, তবে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এবং ভোট প্রদান করতে পারবেন।
ঙ)     সহযোগী সদস্য: রাজশাহী ইউনিভার্সিটির সম্মানিত শিক্ষক (নন-অ্যালামনাই), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ-টেকনিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন কলেজ হতে ডিগ্রীপ্রাপ্ত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে এবং সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স এর ডিগ্রী অর্জনকারীগণ সহযোগী সদস্য হতে পারবেন। তাদেরকে জীবন সদস্যদের জন্য নির্ধারিত এককালীন সদস্য ফি প্রদান করতে হবে। বার্ষিক কোনো সদস্য চাঁদা দিতে হবে না। সহযোগী সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা ভোট প্রদান করতে পারবেন না এবং নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে পারবেন না। 
ধারা-১৩: সদস্যভুক্তির নিয়মাবলি 
ক)     রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো অ্যালামনাস অত্র অ্যাসোসিয়েশনের সংবিধানের ধারা, বিধি ও সদস্যদের জন্য করণীয় নিয়মাবলির প্রতি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করে নিজের স্নাতক/স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত সনদপত্রের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফি ও বিধি মোতাবেক অন্যান্য কাগজপত্র প্রদানপূর্বক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্মে সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হলেই আবেদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। শর্ত থাকে যে কার্যনির্বাহী কমিটি যেকোনো আবেদন গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করার সর্বময় ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। 
খ)      বছরের যেকোনো সময় নির্বাহী কমিটি ঘোষিত অফিস সময়সূচি অনুযায়ী সদস্য হওয়া যাবে। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে ধারা ৩৬-এর নিয়মাবলি প্রযোজ্য হবে। 
ধারা-১৪: সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব 
ক)     সাধারণ সভায় উপস্থিত হওয়া, আলোচনায় অংশগ্রহণ ও প্রস্তাব পেশ করা। 
খ)      বিধি মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দাবি করা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া। 
গ)      অ্যাসোসিয়েশনের যেকোনো কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। 
ঘ)      অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা।
ঙ)     অ্যাসোসিয়েশনের কোনো প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া। 
চ)      সংগঠনের উন্নয়নের স্বার্থে পরামর্শদান বা নির্বাচন কমিশনে কাজ করা।
ধারা-১৫: সদস্য পদ বাতিল 
নিম্নলিখিত কারণে সদস্য পদ বাতিল হবে, যদি কোনো সদস্য-
ক)     স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। সদস্যপদ ত্যাগে ইচ্ছুক সদস্যকে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র সাধারণ সম্পাদকের নিকট পাঠাতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। তবে সদস্যপদ বাতিল হবার পর আত্মপক্ষ সমর্থন করে পুনরায় আবেদন করলে এবং তা সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচনা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে নির্ধারিত পুনরায় সদস্যভুক্তি ফি প্রদান করতে হবে। 
খ)      সাধারণ সদস্যদের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক চাঁদা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হন। 
গ)      মৃত্যুবরণ করেন। 
ঘ)      সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ঘোষিত হন। 
ঙ)      কেউ যদি ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন। 
ধারা-১৬: বহিষ্কার 
কোনো সদস্য অ্যাসোসিয়েশন বা গঠনতন্ত্রবহির্ভূত বা অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য-এর বিরুদ্ধে ক্ষতিকর এবং অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা ও স্বার্থহানিকর কোনো কাজ করলে এতদ্বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করে ও তার প্রাথমিক তদন্তপূর্বক কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে সাময়িকভাবে তাঁর সদস্যপদ স্থগিত এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে বহিষ্কার করা যাবে। বহিষ্কৃত সদস্য ভবিষ্যতে সদস্য হওয়ার জন্য পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না। 
এক্ষেত্রে সাধারণ সভায় বিষয়টি উপস্থাপিত হবে এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘বহিষ্কার’ কার্যকর হবে।
ধারা-১৭: পুনঃ সদস্যভুক্তি 
ধারা ১২(ক) ব্যতিরেকে যে সকল সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হবে, তিনি/তাঁরা কার্যনির্বাহী কমিটির শর্তপুরণ এবং ধারা ১০ অনুযায়ী সদস্য পদ বহালের আবেদন করলে কার্যনির্বাহী কমিটি তা বিবেচনা করতে পারবে। 
ধারা-১৮: সভা 
অ্যাসোসিয়েশনের কাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নিম্নলিখিত সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে:
ক)      সাধারণ সভা 
খ)      বার্ষিক সাধারণ সভা 
গ)      বিশেষ সাধারণ সভা 
ঘ)      তলবি সভা 
ঙ)      কার্যনির্বাহী কমিটির সভা 
চ)       উপদেষ্টামণ্ডলীর সভা 
ছ)      বিভিন্ন উপকমিটির সভা 
জ)     নির্বাচন কমিশন সভা 
ঝ)      নির্বাহী কমিটি বিবেচিত বিশেষ সভা
ঞ)     মতবিনিময় সভা
ধারা-১৯: সাধারণ সভা 
ক)      অ্যাসোসিয়েশনের বিধি মোতাবেক একজন সাধারণ সদস্য বার্ষিক দেয় চাঁদাসহ সকল বকেয়া পরিশোধ করে এবং অন্যান্য সকল প্রকার সদস্য, পৃষ্ঠপোষক ও উপদেষ্টামণ্ডলী এই সভায় উপস্থিত থাকতে ও আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন। 
খ)       সভাপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক দুই সপ্তাহের (১৪ দিন) নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন। 
গ)      তবে কোনো জরুরি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি সাধারণ পরিষদের সভা যেকোনো সময়ের নোটিশে আহ্বান করার জন্য সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব প্রদান করতে পারবেন। 
ঘ)       প্রতিবছর কমপক্ষে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। 
ঙ)      সাধারণ সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি সভার নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে। 
ধারা-২০: বার্ষিক সাধারণ সভা 
ক)      এটি বছরের সমাপনী সাধারণ সভা। 
খ)       সভাপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক ত্রিশ (৩০) দিনের নোটিশে বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন। 
গ)      প্রতিবছর কমপক্ষে একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বার্ষিক সাধারণ সভা বর্ষপঞ্জি (ক্যালেন্ডার ইয়ার)-এর ভেতর না হলেও তাকে ‘বার্ষিক সাধারণ সভা’ হিসেবে অভিহিত করা যাবে। 
ঘ)       বার্ষিক সাধারণ সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, আয়-ব্যয় উপস্থাপন এবং হিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ হবে। 
ঙ)      সাধারণ সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি সভার নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে। 
চ)       কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন নির্দিষ্ট বার্ষিক সাধারণ সভার পরপরই একই সভায় অনুষ্ঠিত হবে।
ধারা- ২১: বার্ষিক সাধারণ সভার কাজ 
বার্ষিক সাধারণ সভায় নিম্নোক্ত কার্য সম্পাদিত হবে: 
ক)      সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রণীত ও কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বারা অনুমোদিত বার্ষিক রিপোর্ট বিবেচনা; 
খ)       বিগত বছরের ‘অডিট রিপোর্ট’ বিবেচনা ও হিসাব-নিকাশ অনুমোদন; 
গ)      কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত ও কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত বাজেট অনুমোদন; 
ঘ)       প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র ও বিধি প্রণয়ন, সংশোধন, পরিবর্তন ও অনুমোদন; 
ঙ)      সভাপতির অনুমতিক্রমে অন্য যেকেনো বিষয় উত্থাপন ও আলোচনা; 
চ)       বার্ষিক সাধারণ সভার সকল সিদ্ধান্ত উপস্থিত ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হবে। সমানসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে সভাপতি কাস্টিং বা নির্ধারণী ভোট দিতে পারবেন। 
ধারা-২২: বিশেষ সাধারণ সভা 
ক)      এটি একটি সাধারণ সভা, যেখানে কেবলমাত্র একটি আলোচ্যসূচি থাকবে। 
খ)       সভাপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক দুই সপ্তাহের (১৪ দিন) নোটিশে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারেন। 
গ)      বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি সভার নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে।
ধারা-২৩: তলবি সভা 
ক)      এটি একটি সাধারণ সভা, যেখানে কেবলমাত্র একটি আলোচ্যসূচি থাকবে। 
খ)       কোনো সাধারণ সদস্য/জীবন সদস্য সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে তলবি সভা আহ্বান করতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের ৫১% সদস্যের (সাধারণ সদস্য/জীবন সদস্য) স্বাক্ষরসহ নির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করবেন। আবেদনপ্রাপ্তির পর বিশেষ সাধারণ সভার বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তলবি সভা আহ্বান করা যাবে। তলবি সভায় উপস্থিত মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে বিষয়টির ওপর সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
গ)      তলবিপত্র পাওয়ার তারিখ হতে ১৫ দিনের মধ্যে সভা আহ্বান না করলে তলবি সভার জন্য পত্রে দস্তখতকারীরা নিজেরাই যথাযথ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেবল সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য সভা আহ্বান করতে পারবেন এবং উপস্থিত সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
ঘ)       একইভাবে নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে তলবি সভা আহ্বান করতে চাইলে নির্বাহী কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরসহ নির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করবেন। তলবি সভার আবেদনপ্রাপ্তির পর সাধারণ সভার বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তলবি সভা আহ্বান করা যাবে। তলবি সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়টির ওপর সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
ধারা-২৪: সাধারণ সভার কোরাম 
ক)      সাধারণ সভার কোরাম হবে ন্যূনপক্ষে এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে। 
খ)       নির্দিষ্ট তারিখে সভার জন্য নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টার মধ্যে যদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সদস্য উপস্থিত না হন এবং অন্য কোনো ঘোষণা না থাকে, তবে উক্ত সাধারণ সভা মুলতবি বলে গণ্য হবে এবং পরবর্তী সপ্তাহে একই দিনে, একই সময়ে ও একই স্থানে (অথবা একই স্থান পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে অন্য কোনো স্থানে) একই আলোচ্যসূচি নিয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমেও অংশগ্রহণ করা যাবে।
গ)      মুলতবি সভার পরবর্তী সপ্তাহের অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টার মধ্যে সদস্যদের প্রয়োজনীয় উপস্থিতি না থাকলেও উপস্থিত সদস্যদের নিয়েই সাধারণ পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই ক্ষেত্রে সভায় প্রয়োজনীয় উপস্থিতি আছে বলে বিবেচিত হবে। সাধারণ সভা যদি সদস্যদের তলবি সাধারণ সভা হয়, তবে অনুপস্থিতির কারণে ওই সভা বাতিল বলে গণ্য হবে। 
ঘ)       মুলতবি সভায় নতুন কোনো আলোচ্যসূচি গ্রহণ করা যাবে না। 
ধারা-২৫: কার্যনির্বাহী কমিটির সভা 
ক)      সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক এক সপ্তাহের (৭ দিন) নোটিশে নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করতে পারবেন। 
খ)       উপস্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি কার্যনির্বাহী কমিটির সভার জন্য কোরাম বলে গণ্য হবে। 
গ)      কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সিদ্ধান্ত উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন বা ভোটে গৃহীত হবে। 
ঘ)       নির্বাহী কমিটির সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি সভার নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে। 
ধারা-২৬: উপদেষ্টামণ্ডলীর সভা 
ক)      কার্যনির্বাহী কমিটির অনুরোধে অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পুরণে উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণে উপদেষ্টামণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। 
খ)       উপদেষ্টামণ্ডলী কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুরোধে যে কোন সময় সভায় মিলিত হতে পারেন। 
গ)       সভাপতির পরামর্শক্রমে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টামণ্ডলীর সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি নির্ধারণপূর্বক সভার নোটিশ গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত উপায়ে দুই সপ্তাহের (১৪ দিন) নোটিশে উপদেষ্টামণ্ডলীর সভা আহ্বান করতে পারবেন।
ঘ)       উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করবেন উপস্থিত উপদেষ্টামণ্ডলীদের মধ্য হতে একজন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় উপস্থিত থাকবেন। সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
ঙ)      উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শ ও সুপারিশ কার্যনির্বাহী কমিটিতে আলোচিত হয়ে যথাযথ কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
চ)       উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
ধারা-২৭: বিভিন্ন উপকমিটির সভা 
ক)     অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক সুষ্ঠ বিভিন্ন উপকমিটি সভার আলোচ্যসূচি, সময়, স্থান, তারিখ নির্ধারণপূর্বক উপকমিটির চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে উপকমিটির সদস্যসচিব, দুই সপ্তাহের (১৪ দিন) নোটিশে উপকমিটির সভা আহ্বান করতে পারবে। 
খ)      সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
গ)      উপকমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিবেচনার জন্য জানানো হবে। 
ধারা-২৮: নির্বাচন কমিশন সভা 
ক)     প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমপক্ষে এক সপ্তাহের (৭ দিন) নোটিশে কমিশনের সভা আহ্বান করতে পারেন। 
খ)      সভার তারিখ, সময়, স্থান ও আলোচ্যসূচি নোটিশের সাথে পাঠাতে হবে। 
গ)      প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরামর্শে কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক এই সভা আয়োজনের সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ধারা-২৯: নির্বাহী কমিটি বিবেচিত বিশেষ সভা এবং মতবিনিময় সভা 
ক)     সভাপতির পরামর্শক্রমে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এই ধরনের সভার আয়োজন করতে পারেন। 
খ)      এই ধরনের সভার আলোচ্য বিষয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচিত হবে এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। 
ধারা-৩০: পৃষ্ঠপোষকমণ্ডলী 
ক)     রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় পদাধিকারবলে অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। 
খ)      উপ-উপাচার্যদ্বয় ও কোষাধ্যক্ষ মহোদয় পদাধিকারবলে অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। 
গ)      কার্যনির্বাহী কমিটি আরও ৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মনোনীত করতে পারবে। তবে তাঁদেরকে কমপক্ষে উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
ধারা-৩১: উপদেষ্টামণ্ডলী 
ক)     রুয়ার সদস্যদের মধ্য থেকে যাঁরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে, ক্রীড়া-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে, দেশ গঠনের বিভিন্নক্ষেত্রে এবং মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, সমাজের বরেণ্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তি যাঁরা অ্যাসোসিয়েশনের কল্যাণে অবদান রাখতে পারেন তাঁদেরই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া যাবে। 
খ)      উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হবে সর্বাধিক ২১ জন। 
গ)      উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রাথমিকভাবে নির্বাহী কমিটি মনোনীত করবে এবং পরবর্তীতে সাধারণ পরিষদকে অবহিত করা হবে। 
ঘ)      প্রথম সভার তারিখ হতে উপদেষ্টামণ্ডলীর মেয়াদ হবে ৩ (তিন) বছর।
ধারা-৩২: কার্যনির্বাহী কমিটি 
ক)     ‘অ্যাসোসিয়েশনের’ ৫১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে। 
খ)      অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত জীবন সদস্যই কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। নির্বাচিত সদস্যরা গঠনতন্ত্রের ৩৬ ধারা অনুসারে কিংবা পরবর্তীতে অন্য কোনো সংশোধন না হলে সাধারণ সভায় পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। 
গ)      কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে তিন বছর বলবৎ থাকবে। 
ঘ)      কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন প্রতি নির্বাচনী বছরে জানুয়ারি-ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ বছরের অডিটেড রিপোর্ট সম্পন্নের সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু শর্ত থাকে যে, এই সময়সীমা কোনোক্রমেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনের বছরের পরবর্তী বছরের ৩০ এপ্রিল অতিক্রম করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী নির্বাচনে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা ঘোষণা করবেন। নতুন কমিটি অনূর্ধ্ব ২১ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন এবং পূর্বতন কমিটি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
ঙ)     যদি নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়, তবে সভাপতি উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শক্রমে একজন আহ্বায়কসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে পারবেন। এই অ্যাডহক কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবে। পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত বলে ঘোষণা দেয়ার পর অবশ্যই ১৫ দিনের মধ্যে যথাযথ ইনভেনটরি বিবরণসহ দায়িত্বভার প্রদান ও গ্রহণ করতে হবে।  
         কোন কারণে অ্যাডহক কমিটি গঠন সম্ভব না হলে বা বিশেষ পরিস্থিতিতে গঠিত অ্যাডহক কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের সাথে পরামর্শ করে অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এ অ্যাডহক কমিটি সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারবে। 
চ)      কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ন্যূনতম ৭ জন নারী সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ধারা-৩৩: কার্যনির্বাহী কমিটির পদবিন্যাস 
কার্যনির্বাহী কমিটির ৫১ জন সদস্যের ‘পদাধিকার’: 
সভাপতি                                                                                     :             ১ জন
সহসভাপতি                                                                               :             ৩ জন
কোষাধ্যক্ষ                                                                                  :             ১ জন
সাধারণ সম্পাদক                                                                     :             ১ জন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক                                                             :             ৩ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক                                                               :             ১ জন
যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক                                                       :             ১ জন
শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক                                                    :             ১ জন
যুগ্ম শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক                                            :             ১ জন
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক                                                        :             ১ জন
যুগ্ম তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক                                                :             ১ জন
সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক                                                :             ১ জন
যুগ্ম সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক                                        :             ১ জন
প্রচার, প্রকাশনা ও জনসংযোগ সম্পাদক                            :             ১ জন
যুগ্ম প্রচার, প্রকাশনা ও জনসংযোগ সম্পাদক                    :             ১ জন
ক্রীড়া সম্পাদক                                                                        :             ১ জন
যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক                                                                :             ১ জন
দপ্তর সম্পাদক                                                                          :             ১ জন
যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক                                                                  :             ১ জন
আইটি সম্পাদক                                                                       :             ১ জন
যুগ্ম আইটি সম্পাদক                                                               :             ১ জন
আইন সম্পাদক                                                                        :             ১ জন
যুগ্ম আইন সম্পাদক                                                                :             ১ জন
কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পাদক                                                     :             ১ জন
যুগ্ম কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পাদক                                             :             ১ জন
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক                                              :             ১ জন
যুগ্ম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক                                      :             ১ জন
নির্বাহী সদস্য                                                                             :             ২০ জন
একজন সহসভাপতি, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৫ জন নির্বাহী সদস্য নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
ধারা-৩৪: কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব 
ক)       শূন্য পদে সদস্য/কর্মকর্তা নিয়োগ দান;
খ)        কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কমিটির ভেতরের অথবা বাইরের সদস্যদের নিয়ে স্টান্ডিং কমিটি ও সাব-কমিটি গঠন; তবে শর্ত থাকে যে, এ ধরনের কমিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির বিবেচনার জন্য বিষয়াবলি স্পষ্টভাবে বর্ণিত হবে এবং তাতে এক বা একাধিক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবেন; সাব-কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে যেকোনো একজন চেয়ারম্যান/আহ্বায়ক হবেন এবং একজন সদস্য কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন। গঠিত কমিটি শুধুমাত্র নির্ধারিত বিষয়বলির জন্যই কাজ; 
গ)        নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ; 
ঘ)        হিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ; 
ঙ)       কার্যনির্বাহী কমিটি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা ও জরুরি সাধারণ সভার তারিখ, সময়, স্থান ইত্যাদি নির্ধারণ; 
চ)        অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় খরচ অনুমোদন; 
ছ)        উপদেষ্টামণ্ডলী মনোনয়ন; 
জ)       অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন; বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবে এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ সাধারণ সভা কিংবা বিশেষ সাধারণ সভায় বিশেষ বাজেট অনুমোদনের জন্য পেশ করতে পারে। 
ঝ)       অ্যাসোসিয়েশনের কর্মচারী নিয়োগ ও নিয়োগের শর্তাদি অনুমোদন; 
ঞ)      সকল নতুন সদস্যের আবেদনপত্র বিবেচনা ও চূড়ান্ত অনুমোদন; 
ট)        ‘সদস্য ফি’ কার্যনির্বাহী কমিটির সুপারিশক্রমে বার্ষিক সভা কর্তৃক নির্ধারিত হবে;
ঠ)        সাধারণ সভা/বার্ষিক সাধারণ সভা/তলবি সভা/বিশেষ সাধারণ সভা ঢাকায় প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দুটি জাতীয় দৈনিক (একটি হবে বাংলা) পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি সভার নোটিশ ইমেইলে পাঠাতে হবে (যাঁদের ইমেইল ঠিকানা সদস্য তথ্য হিসেবে লিখিত থাকবে) এবং মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে (কেবলমাত্র সভার তারিখ, স্থান ও সময়) জানাতে হবে। এরূপ নোটিশে তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ থাকবে। এই নোটিশ উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে প্রকাশ করতে হবে এবং পাঠাতে হবে। এ ছাড়াও নোটিশটি অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে এবং অ্যাসোসিয়েশনের নির্ধারিত অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হবে। 
ড)       কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুরূপে সম্পাদনের জন্য উপবিধি প্রণয়ন করতে পারবে। তবে উক্ত উপবিধি গঠনতন্ত্রের সাথে অসামঞ্জস্য এবং অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হতে পারবে না। আরও শর্ত থাকে যে, কার্যনির্বাহী কমিটি প্রণীত উপবিধি পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে। 
ঢ)        অ্যাসোসিয়েশনের সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী কমিটি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, কোনো দান গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কোনো কিছু লিজ বা ভাড়া গ্রহণ করতে পারবে। তবে সংগঠনটির কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হবে। 
ধারা-৩৫: কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব 
১. সভাপতি 
ক)       অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হবেন; 
খ)       তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করবেন;
গ)       তিনি সভার প্রস্তাবাবলি ও সিদ্ধান্তবলি অনুমোদন করবেন; অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ বার্ষিক রিপোর্ট আকারে সাধারণ সভায় পেশ এবং বার্ষিক অডিট এর ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক একটি বিশেষ সময়কালের হিসাব-নিকাশ অডিট করাতে পারবেন এবং সাধারণ সভায় তা পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। 
ঘ)       প্রয়োজনবোধে তিনি গঠনতন্ত্রের যেকোনো ধারা, উপধারার ব্যাখ্যা/সিদ্ধান্ত দেবেন এবং তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে; 
ঙ)       সমানসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে কাস্টিং ভোট দিতে পারবে; 
চ)        জরুরি প্রয়োজনে ন্যূনপক্ষে চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে যেকোনো সময় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকতে পারবেন; 
২. সহসভাপতি
ক)      সাধারণভাবে সভাপতিকে সার্বিক কাজে সহায়তা করবেন; 
খ)      সভাপতির অনুপস্থিতিতে ক্রমানুসারে সহসভাপতিগণ অ্যাসোসিয়েশনের সভায় সভাপতিত্ব করবেন; 
গ)      মেয়াদ পূর্তির আগে কোনো কারণে সভাপতির পদ শূন্য হলে ক্রমানুসারে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সহসভাপতিগণের অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো সদস্যকে উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য নির্বাচন করা যাবে। 
৩. সাধারণ সম্পাদক
ক)      অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন; 
খ)      সভাপতির পরার্শক্রমে সভার আলোচ্যসূচি নির্ধারণপূর্বক তিনি অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় সভা আহ্বান করবেন; 
গ)      সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করবেন;
ঘ)      সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে বার্ষিক রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে ও সাধারণ সভায় পেশ করবেন; 
ঙ)      সভাপতির পরামর্শক্রমে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন; 
চ)       অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে প্রয়োজনীয় যেকোনো অনুমোদিত দলিল ও চুক্তিতে তিনি স্বাক্ষর করবেন। তবে প্রয়োজন হলে বিশেষ ক্ষেত্রে সভাপতি এ ধরনের চুক্তি কিংবা দলিলসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করতে পারবেন; 
ছ)      সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে বিভাগীয় সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্যদের কার্যাবলি সমন্বয় করবেন; 
জ)     কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মচারী নিয়োগ, বরখাস্ত, বেতন বৃদ্ধি, ছুটি মঞ্জুর ও যৌক্তিক পর্যায়ে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবেন;
ঝ)      নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক রিপোর্ট/রিটার্ন দাখিল করবেন; 
ঞ)     কমিটির অনুমোদনক্রমে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন; 
ট)      সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক সাত দিনের নোটিশে কিংবা প্রয়োজনানুসারে জরুরি অন্যান্য সভাসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভা আহ্বান করবেন; 
৪. কোষাধ্যক্ষ 
ক)      অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনের জন্য তা পেশ করবেন; 
খ)       কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে ব্যাংকে অ্যাসোসিয়েশনের টাকা রাখার বিধিমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; 
গ)       অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ বার্ষিক রিপোর্ট আকারে সাধারণ সভায় পেশের জন্য সময়মতো তৈরি করে দেবেন এবং বার্ষিক অডিট করাবেন; 
ঘ)      অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। এবং তা কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়ন করবেন; 
ঙ)      সদস্যদের চাঁদা ও অন্যান্য অনুদান আদায়ের ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
চ)       চাঁদা আদায়ের রসিদ বই, আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা দেয়ার বই, চেক বই, অ্যাসোসিয়েশনের সকল প্রকার হিসাবপত্র, বিল-ভাউচার ও হিসাব সংক্রান্ত অন্যান্য সকল কাগজপত্র তার তত্ত্বাবধানে থাকবে: 
ছ)      তিনি অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় ব্যয় যথাসম্ভব চেকের মাধ্যমে সম্পাদন করবেন; 
জ)     অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি ব্যয় নির্বাহের জন্য সাধারণ সম্পাদকের জ্ঞাতসারে তিনি সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নিজের কাছে নগদ রাখতে পারবেন। 
ঝ)      হিসাববিজ্ঞানের প্রচলিত সকল আধুনিক হিসাবরক্ষণ নীতি অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যা কোষাধ্যক্ষের তদারকিতে পরিচালিত হবে। 
ঐ)     আয়-ব্যয়ের হিসাব সাধারণ সভায় অনুমোদনের এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করবেন। 
৫. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক 
ক)       যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যে সাধারণ সম্পাদককে সর্বতোভাবে সহযোগিতা ও সহায়তা করবেন এবং প্রয়োজনে সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক সভায় কার্যাবলির খসড়া সাধারণ সম্পাদকের নিকট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ করবেন। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় অফিস রেকর্ড ইত্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক বণ্টনকৃত দায়িত্ব পালন করবেন; 
খ)       সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ক্রমানুসারে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। 
৬. সাংগঠনিক সম্পাদক
ক)       তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক কার্যকলাপ পরিচালনা করবেন; 
খ)      সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
গ)      অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাসদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবেন এবং সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবেন; 
ঘ)      অ্যাসোসিয়েশনের শাখা গঠনের বিষয়ে তিনি মতামত দেবেন ও কার্যনির্বাহী কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। 
৭. শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সাময়িকী/মুখপত্র, পুস্তক প্রকাশনা, ই-বুকসহ যাবতীয় প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রয়োজনে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদকের সাথে সমন্বয়পূর্বক সাহিত্যবিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। 
৮. তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং রুয়ার স্বার্থে নানাবিধ গবেষণার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রয়োজনে শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদকের সাথে সমন্বয়পূর্বক নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। 
৯. সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক
অ্যাসোসিয়েশনের সকল বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, যেমন সংগীত, নাটক, নৃত্য ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন ও কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং প্রয়োজনে শিক্ষা, পাঠাগার ও গবেষণা সম্পাদকের সাথে সমন্বয়পূর্বক সাহিত্যবিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। 
১০. প্রচার, প্রকাশনা ও জনসংযোগ সম্পাদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাসদের মধ্যে অত্র অ্যাসোসিয়েশনের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও চলতি কর্মসূচিসমূহ প্রচার ও জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান/কর্মসূচির আয়োজন করবেন এবং এ উদ্দেশ্যে প্রচারপত্র, পোস্টার, লিফলেট ও পুস্তিকা ইত্যাদি প্রকাশের ব্যবস্থা করবেন। তিনি অ্যাসোসিয়েশনের অনুকূলে সকল কার্যক্রম বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিশেষ বাহক মারফত, ডাকযোগে, খবরের কাগজের মাধ্যমে, ই-মেইল, মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমে এবং অন্য কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের নিকট নোটিশ প্রেরণ করবেন। 
১১. ক্রীড়া সম্পাদক
ক্রীড়াবিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
১২. দপ্তর সম্পাদক 
সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে দপ্তর সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের সকল দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের সকল রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তিনি অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমের পরিসংখ্যান ও রিপোর্ট তৈরি করবেন এবং তা সংরক্ষণ করবেন। 
সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক যেকোনো সভা আহ্বান করলে সভার নোটিশ গঠনতন্ত্রের আলোকে সংশ্লিষ্ট সকল সদস্যকে অবহিত করা দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব হবে। 
১৩. আইটি সম্পাদক 
আইটিবিষয়ক সকল দায়িত্ব পালন করবেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের সকল অনলাইন রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। 
১৪. কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পাদক
সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের সকল কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এতৎসংক্রান্ত অ্যাসোসিয়েশনের সকল রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তিনি অ্যাসোসিয়েশনের কল্যাণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিসংখ্যান ও রিপোর্ট তৈরি করবেন এবং তা সংরক্ষণ করবেন। 
১৫. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশনের সকল আন্তর্জাতিকবিষয়ক কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এতৎসংক্রান্ত অ্যাসোসিয়েশনের সকল রেকর্ডপত্র রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। 
১৬. আইন বিষয়ক সম্পাদক
অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে সকল আইনী সহায়তা প্রদান এবং অ্যাসোসিয়েশনের সম্পদ রক্ষার্থে যাবতীয় আইনী দিক দেখভাল করা আইন সম্পাদকের প্রধান কাজ।
১৭. যুগ্ম সম্পাদক (বিভিন্ন দপ্তরের যুগ্ম সম্পাদক) 
ক)     যুগ্ম সম্পাদকগণ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যে দপ্তরের সম্পাদককে সর্বতোভাবে সহযোগিতা ও সহায়তা করবেন এবং প্রয়োজনে সম্পাদককর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। নিজ দপ্তরের সভার কার্যাবলির খসড়া সম্পাদকের নিকট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ করবেন। 
খ)      সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। 
১৮. কার্যনির্বাহী সদস্য
ক)     সভাপতি ও সহসভাপতিদের অনুপস্থিতিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভায় উপস্থিত জ্যেষ্ঠ সদস্য সভাপতিত্ব করবেন।
খ)     সাধারণ সম্পাদক বা কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব পালন করবেন। 
গ)     কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনায় সর্ব প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। 
ধারা-৩৬: কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন 
ক)     জীবন সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। 
খ)     কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বে সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে নির্বাহী কমিটি/অ্যাডহক কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন পাঁচজন সদস্যের সমন্বয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, যেখানে কমপক্ষে ২ জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অথবা রাজশাহীতে বসবাসরত হতে হবে। কমপক্ষে ১ জন নারী সদস্য থাকবেন। উক্ত কমিশনের ১ জন সদস্যকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগদান করবেন। 
গ)     নির্বাচন কমিশন কার্যনির্বাহী কমিটির সহযোগিতায় বিধি মোতাবেক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে সকলের অবগতির জন্য প্রকাশ করবেন। গঠিত নির্বাচন কমিশন কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং শুনানি-অন্তে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন ও অনলাইনে প্রচারের ব্যবস্থা করবে।
ঘ)     বিধি মোতাবেক মনোনয়নপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের অন্তত এক মাস পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন। 
ঙ)     অ্যাসোসিয়েশনের সকল বৈধ ও নির্দিষ্ট প্রকারের (যাঁর জন্য প্রযোজ্য) সদস্য ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন। তবে নির্বাচন কমিশন গঠনের ৩০ দিনের মধ্যে যাঁরা অ্যাসোসিয়েশনের জীবন সদস্যভুক্ত হবেন, তাঁরাও নির্বাচন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 
চ)      নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মনোনয়নপত্র প্রযোজ্য ফি আদায় সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত জীবন সদস্যের নিকট বিক্রি করতে পারবেন। 
ছ)     নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে তাঁদের ভোটাধিকার থাকবে। 
জ)    যেকোনো পদের জন্য স্বতন্ত্রভাবে যেকোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তবে প্যানেল ভুক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া যাবে না। এক ব্যক্তি একের অধিক পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। 
ঝ)     নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের রায়ই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
ঞ)    নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয়সংখ্যক রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করতে পারবেন। 
ট)      নির্বাচন কমিশনার তফসিল অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম, সদস্য নম্বর ও ছবিসহ মানসম্মত ব্যালট প্রস্তুত করবেন। 
ঠ)     নির্বাচনের যাবতীয় ব্যয় মনোনয়নপত্র বিক্রির টাকা থেকে এবং প্রয়োজনে অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল থেকে নির্বাহ হবে। 
ড)     প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে। 
ঢ)     ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। 
ণ)     কোনো ক্ষেত্রে একই পদে দুজন প্রার্থীর ভোট সমান হলে নির্বাচন কমিশন লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করবে। 
ত)     কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে আলোচনা করে অ্যাসোসিয়েশনের ধারা এবং বিধির সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন কোনো নীতিমালা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রণয়ন করতে পারবেন।
থ)     কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে নির্বাচন সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটি, নির্বাচন কমিশনের উপস্থিতিতে/লিখিত অনুমোদন সাপেক্ষে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে নিরীক্ষিত আয়-ব্যয়ের হিসাব ও ইনভেনটরিসহ দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন। 
দ)     সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একজন ব্যক্তি একাদিক্রমে ২ বারের বেশি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। 
ধারা-৩৭: অনাস্থা প্রস্তাব 
ক)     কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য কোনো একজন সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের কমপক্ষে ৫১% জীবন সদস্যের স্বাক্ষরসহ নির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিতভবে নোটিশ প্রদান করবেন। নোটিশপ্রাপ্তির পর সভাপতি তলবি সভা আহ্বান করবেন। এক্ষেত্রে সভায় মোট জীবন সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হবে। 
খ)     অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের অথবা শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। 
গ)     অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশপ্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সভাপতি সাধারণ সভা আহ্বান না করলে অনাস্থা প্রস্তাবকারীরা নিজেরাই সাত দিনের নোটিশে তলবি সভা আহ্বান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের সাথে পরামর্শ করে পাঁচজন সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এই কমিটি ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
ধারা-৩৮: পদত্যাগ 
কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা/সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি কারণ উল্লেখপূর্বক সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। নির্বাহী কমিটি সভাপতি পদত্যাগ করতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক বরাবর তাঁর পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। 
ধারা-৩৯: অব্যাহতি 
কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সদস্য দ্বারা অ্যাসোসিয়েশনের নির্ধারিত কাজ বা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, কিংবা কমিটির কোনো সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ক্ষতিকর কাজে লিপ্ত হলে তাঁকে ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে তাঁর জবাবপ্রাপ্তির পর উপকমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে কার্যনির্বাহী কমিটি অব্যাহতির বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। পরবর্তীকালে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে উক্ত কর্মকর্তা বা সদস্যকে নিজ দায়িত্ব থেকে বা নির্বাহী কমিটির কার্যপ্রণালিতে অংশ নেওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে এবং অব্যাহতির বিষয়ে সাধারণ সভা কর্তৃকচূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ধারা-৪০: তহবিল 
ক)     তহবিলসহ সকল সম্পত্তি অ্যাসোসিয়েশনের নামে অর্জিত, স্বীকৃতি ও পরিচালিত হবে এবং তা অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বে থাকবে। ধারা ৪০ মোতাবেক অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল গঠিত হবে। অ্যাসোসিয়েশনের এই তহবিলের অর্থ কার্যনির্বাহী কমিটি প্রথমত যেকোনো সরকারি তফসিলী ব্যাংকে, তারপরে বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকে (ব্যাংকসমূহে অথবা ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে অথবা লিজিং কোম্পানি, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র কিংবা অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রথম সারির বিবেচনা করে) জমা রাখবেন। তবে বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সমস্ত তহবিলের অবস্থান অবহিত করতে হবে। 
খ)     সম্মানিত অ্যালামনাই ও বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অ্যাসোসিয়েশনের ফাণ্ডে প্রদত্ত/প্রদেয় অর্থের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করাপূর্বক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতরভাবে আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি এন্ডাউমেন্ট ফাউন্ডেশন/ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যা একটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি প্রস্তাবিত এন্ডাউমেন্ট গঠন প্রণালি, উদ্দেশ্য ও পরিচালনা নীতিমালা এবং অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করবে। 
ধারা-৪১: তহবিলসমূহ 
ক)     নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অর্জিত অর্থ বিশেষ তহবিলে জমা রাখতে হবে। 
খ)     সকল সদস্য/জীবন সদস্যের চাঁদা একটি নির্দিষ্ট বিশেষ (লাভজনক) তহবিলে জমা হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি চলতি বছরের এই খাতে অর্জিত চাঁদার অনধিক শতকরা ৫০ ভাগ লাভজনক স্থায়ী আমানত হিসাবে স্থানান্তর করতে পারবে (স্থায়ীভাবে অথবা সাময়িকভাবে)। 
গ)     অ্যাসোসিয়েশনের সকল আয় হিসাব পরিচালনার সুবিধার্থে এবং সদস্যদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৃথক হিসাব নম্বরে প্রবেশ ফি, বার্ষিক চাঁদা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চাঁদা ও বিবিধ সূত্রে প্রাপ্ত অর্থসমূহ ধারা ৪১ অনুযায়ী নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংকে সংরক্ষিত থাকবে। যেটা বিধি মোতাবেক পরিচালিত হবে। 
ঘ)     সকল সদস্যকে (যেখানে প্রযোজ্য) প্রত্যেক বছরের বার্ষিক চাঁদা অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে অগ্রিম প্রদান করতে হবে।
ধারা-৪২: বিনিয়োগ 
অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে কার্যনির্বাহী কমিটি সমীচীন মনে করলে বিভিন্ন তহবিলের টাকা সরকারি সিকিউরিটি, সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোনো লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ৪১ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংকে/আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ হবে। 
ধারা-৪৩: ব্যাংক হিসাব পরিচালনা 
ক)     অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক হিসাবসমূহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষের নামে খোলা হবে। এবং কোষাধ্যক্ষসহ যে কোন ২ জনের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। 
খ)     অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম বেগবান এবং মসৃণভাবে চলার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি দেশের প্রথম সারির যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করতে পারবে এবং আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবে। 
ধারা-৪৪: হিসাব নিরীক্ষা 
কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত পরবর্তীতে বার্ষিক সাধারণ সভা কর্তৃক অনুমোদনকৃত হিসাব নিরীক্ষকের দ্বারা হিসাব নিরীক্ষা করিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে কোষাধ্যক্ষ তা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। 
ধারা-৪৫: গঠনতন্ত্রের সংশোধনী 
ক)     গঠনতন্ত্র ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব কেবলমাত্র বার্ষিক সাধারণ সভায় অথবা এতদুদ্দেশ্যে আহূত বিশেষ সাধারণ সভায় বিবেচিত হবে। 
খ)     এরূপ প্রস্তাব কার্যনির্বাহী কমিটি বা যেকোনো সদস্য সংশোধনের জন্য উত্থাপন করতে পারবেন।
গ)     কোনো সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাব সভার কমপক্ষে ৬০ দিন পূর্বে নির্বাহী কমিটিকে পাঠাতে হবে এবং প্রস্তাবটি নির্বাহী কমিটিতে আলোচনাপূর্বক প্রথমে কার্যনির্বাহী কমিটিতে বিবেচিত হবে এবং কোনো সংশোধনী থাকলে তাদের মতামতসহ বিবেচনার জন্য সাধারণ সভায় পেশ করা হবে। 
ঘ)     এই গঠনতন্ত্রের কোনো ধারা, উপধারা বা শব্দের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংকোচন, সংযোজন বা রদবদলের প্রয়োজন হলে সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে তা সংশোধন করা যাবে। 
ঙ)     বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত সংশোধনী গৃহীত হওয়ার সাথে সাথে তা গঠনতন্ত্রের অংশ হিসেবে গণ্য হবে। 
ধারা-৪৬: বিলুপ্তি 
কোনো জীবন সদস্য এই সুনির্দিষ্ট ‘বিলুপ্তি’ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের ৫১% জীবন সদস্যের স্বাক্ষরসহ নির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করবেন। আবেদনপ্রাপ্তির পর অ্যাসোসিয়েশনের বিলুপ্তির প্রস্তাব বার্ষিক সাধারণ সভায় অথবা এতদুদ্দেশ্যে আহূত বিশেষ সাধারণ সভায় অ্যাসোসিয়েশনের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের ভোটে গৃহীত হলে উক্ত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়ার পর অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্ত হবে। 
ধারা-৪৭: বিলুপ্ত অ্যাসোসিয়েশনের সম্পত্তি 
অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্ত হলে, সাধারণ সভা কর্তৃক অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না থাকলে অত্র অ্যাসোসিয়েশনের সকল দায়মুক্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।
ধারা-৪৮: নির্ভরযোগ্য পাঠ 
বাংলায় এই গঠনতন্ত্রের একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ ও ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ থাকবে এবং উভয় পাঠ নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাবে। 
ধারা-৪৯: গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা 
এই গঠনতন্ত্রের একটি নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা সকলের কাছেই বোধগম্য হয়েছে মনে করতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে কোনো সদস্যের কাছে ব্যাখ্যা বুঝতে কিংবা কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচ্য হবে। 
ধারা-৫০: অলিখিত বিষয়সমূহ 
যে সকল বিষয় সম্পর্কে গঠনতন্ত্রে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি, সে সকল বিষয়সমূহ নির্বাহী কমিটির সভায় এবং প্রয়োজনে সাধারণ সভায় উপস্থাপিত হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত বিষয়ের ওপর সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বিধিসমূহ
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র সঠিক ও সমুন্নত রাখার জন্য নিম্নলিখিত বিধিমালা গৃহীত হলো। 
বিধি-১: সদস্য 
ধারা ১২ অনুসারে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার যোগ্য এবং ইচ্ছুক ব্যক্তি সদস্য পদের জন্য নির্দিষ্ট ফরমে সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করবেন। 
বিধি-২: সদস্য ফি 
সদস্য ফি স্থায়ী আমানত হিসেবে বিবেচ্য হবে এবং অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খরচ করা যাবে না। তবে এর লভ্যাংশ অ্যাসোসিয়েশনের নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা যাবে। 
ক)     সাধারণ সদস্য পদের আবেদনপত্রের সাথে মোট ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা প্রদান করতে হবে। এর পরের বছর থেকে সাধারণ সদস্যদের বার্ষিক ফি হিসেবে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে জমা দিতে হবে। সংবছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে বার্ষিক ফি জমা দিয়ে প্রতিবছর সদস্য অধিকার হালনাগাদ করা যাবে। নির্বাচনের বছর এর ব্যতিক্রম হতে পারে নির্বাচন বিধি অনুসারে। 
খ)     জীবন সদস্য পদের আবেদনপত্রের সাথে এককালীন মোট ৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। 
গ)     আর্থিক প্রণোদনা সদস্য (ডোনার মেম্বার) পদের আবেদনপত্রের সাথে এককালীন ১,০০,০০০/- (এক লাখ) টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনা (সদস্য) হওয়া যাবে। 
ঘ)     সহযোগী সদস্য পদের আবেদনপত্রের সাথে এককালীন মোট ৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।
বিধি-৩: বার্ষিক চাঁদা সময় 
কোনো সাধারণ সদস্য বার্ষিক চাঁদা তৎবছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে সদস্য-সুবিধাদি ভোগের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। তবে শর্ত থাকে যে ৫০০ টাকা পুনঃপ্রবেশ ফি এবং বকেয়া বছরসমূহের জন্য নির্ধারিত দেয় চাঁদা পরিশোধ সাপেক্ষে সাধারণ সদস্য পদ পুনর্বহাল করা যাবে। 
বিধি-৪: সদস্য পদ বাতিল 
কোনো সদস্যের আচরণ কার্যনির্বাহী কমিটির মতে সদস্য পদ বাতিলের যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তাঁকে তাঁর সর্বশেষ প্রাপ্ত ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এবং ই-মেইল ঠিকানায় সাত দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাতে হবে। তার জবাব (যদি তিনি তা দেন) কার্যনির্বাহী কমিটির মতামতসহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। সাধারণ সভা কর্তৃক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সদস্য তাঁর সম্পর্কিত বিষয়ে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 
বিধি-৫: অর্থ ফেরত 
সদস্য পদের জন্য দেয় ফি, বিভিন্ন দেয় চাঁদা কিংবা কোনো অনুদান কোনো অবস্থাতেই ফেরত দেয়া হবে না। 
বিধি-৬: জীবন সদস্য 
সাধারণ সদস্য থেকে জীবন সদস্য হতে হলে বিধি মোতাবেক ‘জীবন সদস্য ফি’ প্রদান করতে হবে। 
বিধি-৭: সাধারণ সভায় উপস্থিতির অধিকার 
সব ধরনের সদস্য (প্রদেয় ফি দিয়ে হাল নাগাদ করা), পৃষ্ঠপোষক ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকতে ও আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন। তবে সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য ছাড়া কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে বা ভোট দিতে পারবেন না। 
বিধি-৮: সদস্য নোটিশ 
সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সভার অন্তত ৩০ দিন পূর্বে সদস্যদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সকল প্রকারের নোটিশ কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট পেশ করবেন এবং এই সব প্রস্তাব কার্যনির্বাহী সভা কর্তৃক বিবেচিত হলে তা সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবেন। 
বিধি-৯: সদস্য প্রস্তাব 
যেকোনো সদস্য, সাধারণ সভায় আলোচনার জন্য, কার্যনির্বাহী কমিটির বিবেচনার জন্য প্রস্তাব আনতে পারবেন এবং এই প্রস্তাব তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি ও রেজিস্টার্ড ই-মেইল এর মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। 
বিধি-১০: কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক 
কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি দুই মাসে ন্যূনপক্ষে একবার বৈঠকে বসতে চেষ্টা করবে। কোনোভাবেই এই বৈঠক পরপর তিন মাস বাকি থাকতে পারবে না। এই বৈঠকের স্থান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারণ করবেন। তবে উল্লেখ্য যে, বছরে সর্বাধিক দুটি বৈঠক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আয়োজন করা যাবে। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ই-মেইলের মাধ্যমে ডাকা যাবে এবং অতি প্রয়োজনে অনলাইন মিটিং ফরম্যাটে (যেমন জুম, গুগল মিট ইত্যাদি বহুল প্রচলিত মিটিং ফরম্যাট) ডাকা যাবে। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ করতে ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এসএমএস এবং টেলিফোন করে ফলোআপ করতে হবে।
বিধি-১১: সভাপতিত্ব 
সভাপতি সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে ক্রমানুসারে উপস্থিত সহসভাপতিগণ এবং তাঁদের অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য একজন কার্যনির্বাহী সদস্য বিবেচিত হবেন। 
বিধি-১২: সভার বিবরণী 
কার্যনির্বাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট খাতায় লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে। সভার কার্যবিবরণী সাধারণ সম্পাদক পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সভার সভাপতির অনুমোদন ও স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন। প্রয়োজনে সভার বিবরণ ই-মেইল ও হোয়ার্টসঅ্যাপ গ্রুপে দেয়া যাবে এবং স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণী পরবর্তীতে কমিটির সকলকে ই-মেইল করা হবে এবং হোয়ার্টসঅ্যাপ গ্রুপে দেয়া হবে। 
বিধি-১৩: মনোনয়নপত্র 
নির্বাচন কমিশন কার্যনির্বাহী কমিটির বিভিন্ন পদের নির্বাচনে নিম্নলিখিত নির্ধারিত হারে মনোনয়নপত্র বিক্রি করবেন-
ক)  সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ: ২০ হাজার।
খ)  সম্পাদকীয় পদসমূহ: ১৫ হাজার।
গ)  নির্বাহী সদস্য: ১০ হাজার।
বিধি-১৪: অযোগ্যতা 
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন ও তাঁর পদ শূন্য হবে, যদি 
ক)      তিনি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ হারান, অথবা 
খ)      সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ লিখিতভাবে না জানিয়ে পরপর তিনটি (৩) সভায় অনুপস্থিত থাকেন। 
বিধি-১৫: নগদ অর্থ 
অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থে বা কাজের সুবিধার্থে সাধারণ সম্পাদক কোষাধ্যক্ষের নিকট ১০ হাজার টাকা নগদ রাখতে পারবেন, তবে শর্ত থাকে যে, 
ক)      বিশেষ জরুরি অবস্থায় সাধারণ সম্পাদক সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অগ্রিম প্রদান করতে পারবেন। 
খ)      তবে এই বিধান নির্বাহী কমিটি নির্ধারিত বিশেষ কোনো তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। 
গ)     অন্যরূপে কোনো সিদ্ধান্ত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত না হয়ে থাকলে, সাধারণ সম্পাদক বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে যেকোনো একটি বিষয়ের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন। 
বিধি-১৬: নমুনা সহি 
ব্যাংক হিসাব পরিচালনার জন্য চেকে স্বাক্ষরদাতাদের নমুনা সহি সভাপতি কর্তৃক অ্যাসোসিয়েশনের সিলমোহরসহ সত্যায়িত হতে হবে।
বিধি-১৭: শাখা 
কেন্দ্রের বাইরে কোনো স্থানে ৩১ জন জীবন সদস্য থাকলে কমপক্ষে ৭ জনের একটি সাংগঠনিক গ্রুপ শাখা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন। কমপক্ষে ২০ জনের সদস্যভুক্তির পর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্বীকৃতির জন্য দরখাস্ত করা যাবে। কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে শাখাসমূহ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবে। কোনো জেলা, উপজেলা কিংবা প্রদেশে একাধিক শাখা করা যাবে না। 
বিধি-১৮: শাখা কমিটি 
অ্যাসোসিয়েশনের শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি একজন সভাপতি, একজন সহসভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন শাখা সম্পাদক, একজন সহকারী শাখা সম্পাদক ও কমপক্ষে ছয়জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। কোনোভাবেই শাখার নির্বাহী কমিটি ১৫ সদস্যের বেশি হবে না। 
বিধি-১৯: সিলমোহর 
অ্যাসোসিয়েশনের একটি সিলমোহর থাকবে, যা সাধারণ সম্পাদকের হেফাজতে থাকবে। 
বিধি-২০: পরিচয়পত্র 
প্রত্যেক সদস্যকে কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি সদস্য কার্ড বা পরিচয়পত্র দেয়া হবে। 
বিধি-২১: সদস্য বই 
ক)       অ্যাসোসিয়েশনের একটি সদস্য বই থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সকল সদস্যের ছবিসহ বিবরণ থাকবে। উল্লেখ্য যে এই সমস্ত তথ্য বিবরণ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার জন্য সদস্যের সম্মতি নিতে হবে। 
খ)        সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করে যেকোনো সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বই পরিদর্শন করতে পারবেন।
গ)       সদস্যদের শ্রেণি অনুসারে, বর্তমান বছরের দেয় চাঁদা এবং বকেয়া দেখিয়ে প্রতিবছর ১০ নভেম্বরের মধ্যে একটি নতুন সদস্য তালিকা তৈরি করে তা পরিদর্শন ও যাচাইয়ের জন্য অফিস খোলার দিনগুলোতে অফিসে রাখা হবে এবং নির্ধারিত মূল্যে সদস্য তালিকার কপি ক্রয় করা যাবে অথবা এটা থেকে ব্যক্তিগতভাবে নোট টুকে নেয়া যাবে। অ্যাসোসিয়েশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকেও এই তালিকা দেখা যাবে। 
ঘ)        সদস্য বই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের নোটিশের তারিখ পর্যন্ত পরিদর্শনের জন্য পাওয়া যাবে। 
বিধি-২২: ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম
নির্বাহী কমিটি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্যাবলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আন্তযোগাযোগ স্থাপন ও নানাবিধ কার্য সম্পাদনের নিমিত্তে একটি ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস তৈরি, সামাজিক যোগাযোগ সাইটে গ্রুপ, পেজ ইত্যাদি খোলা ও পরিচালনা করতে পারবে। 
বিধি-২৩: অর্থমূল্য
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি কোনোভাবেই কেবলমাত্র অর্থমূল্য নির্ধারণ করে ‘নির্বাহী কমিটির কোনো পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তি এবং কোনো যোগ্যতা নিরূপক বিধি সংযুক্ত করতে পারবে না। এমনকি নির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকার যোগ্যতা হিসেবে কোনো প্রকার বাধ্যতামূলক চাঁদা ধার্য করে বিধি প্রণয়ন করতে পারবে না। 
বিধি-২৪: বিবিধ চাঁদা এবং অনুদান 
অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি বিভিন্ন ব্যয় বহনের জন্য কিংবা নতুন কোনো উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চাঁদা আহ্বান করতে পারবে, যা সদস্যদের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হতে হবে। তবে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের জন্য আবশ্যক চাঁদা নির্ধারণ করতে পারবে। 
বিধি-২৫: পরিবর্তন 
কার্যনির্বাহী কমিটি দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে নতুন বিধি প্রণয়ন কিংবা এই বিধিগুলোর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন করতে পারবে। তবে পরবর্তী সাধারণ সভায় এটা অনুমোদন করে নিতে হবে। 
কোনো অবস্থাতেই যেন কোনো বিধি, অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের কোনো ধারার সাথে সাংঘর্ষিক কিংবা গঠনতন্ত্রের স্বার্থকে ক্ষুন্ন না করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।